এখনকার সময়ে আমাদের কাছে ওয়াক্সিং জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও ওয়াক্সিং এর ব্যবহার শুরু হয় প্রাচীন মিশরীয় সময় থেকে। অবশ্য তখন নারী – পুরুষ সবাই ঘরে বসেই ওয়াক্সিং এর কাজ শেষ করতো কিন্তু এখনো তার ব্যতিক্রম নয়৷ তবে আমরা এখন পার্লারমুখী। সবসময় পার্লারে ওয়াক্সিং করতে পছন্দ করি। তাই হয়তো আমরা অনেকেই ঘরে বসে Waxing করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত থাকি না।
কিন্তু ঘরে বসেই পার্লারের মত করেই ওয়াক্সিং করা সম্ভব। পার্লারের Waxing এ যতটুকু ব্যাথা পাওয়া যায় ঘরে কিছু টিপস ফলো করে করলে ব্যাথার অনুভূতি কম হয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ওয়াক্সিং সম্পর্কে।
★★ওয়াক্সিং কি?
হাতে পায়ের লোম যখন বড় হয়ে যায় তখন ত্বক খসখসে এবং কালচে দেখায়। আর যাদের ফেসিয়াল হেয়ার আছে তাদের তো মেকাপ সেট হয় না সাথে ত্বকও কালচে দেখায়।
আর শরীর ও হাত পায়ের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য জনপ্রিয় হলো ওয়াক্সিং। অনেকেই রেজার ব্যবহার করে থাকেন এতে মুখে, হাত পায়ের লোম তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাওয়ার মত সমস্যায় পড়েন। কিন্তু ওয়াক্সিং করলে আপনি এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এটি একটি প্রাকৃতিক উপায় যা আপনার লোম কে ত্বকের ভিতর থেকে তুলে এনে ত্বককে পরিষ্কার করে ।
Waxing কি তা তো আশা করি বুঝেছেন, এবার তাহলে চলুন জানা যাক পার্লারে না গিয়ে কিভাবে ঘরে বসে ওয়াক্সিং করবেন।
★★ওয়াক্সিং এর ঘরোয়া পদ্ধতি
১) লেবু আর চিনির মিশ্রণ : পরিমান মতো চিনি নিন সাথে দু চামচ লেবুর রস এবং একটু পানি। তিনটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে সোনালি রঙ হয়ে এলে তারপর নামিয়ে একটু ঠাণ্ডা করে নিন। হালকা গরম এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগান। এরপর ৩০মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হাতে ঠাণ্ডা জল নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন।
চিনি হালকা গরমে আঠালো হয়ে যায়। যা লোম তুলে আনে। আর অন্যদিকে লেবু ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
২) চিনি,মধু ও লেবুর মিশ্রণ : প্রথমে এক কাপ চিনি নিয়ে রস করতে থাকুন। রস আঠালো হাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। আঠালো হয়ে গেলে তাতে, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। আস্তে আস্তে নাড়ুন। মিশ্রণটি একটু আঠালো হবে। যদি খুব বেশি আঠালো হয়ে যায়, তাহলে একটু পানি মিশিয়ে নিন। এরপর এটি নামিয়ে ফ্রিজে ঠাণ্ডা করুন। একটা বড় সুতি বা লিনেন কাপড় আগে থেকেই দুভাজ করে সেলাই করে রাখবেন। এটি কাজে লাগবে। এরপর যেখানে লোম তুলতে হবে সেখানে আগে একটু পাউডার লাগিয়ে নিন। তারপর ঠাণ্ডা মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন।
তারপর সেই কাপড়টি ত্বকের ওপর চেপে লাগিয়ে রাখুন তিন মিনিট। এবার কাপড়টি জোরে টান দিন লোমের বিপরীত দিকে।খুব দ্রুত টানবেন। এভাবে আস্তে আস্তে সব লোমই উঠে আসবে।
৩)কলা ও ওটমিলের মিশ্রণ : একটা কলা ও দু থেকে তিন চামচ ওটমিল ভালো করে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ বানান। তারপর এটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মত ম্যাসাজ করুন।
এটি সপ্তাহে দু থেকে তিনবার করলে এতে ত্বকে লোম কম গজাবে। লোম দূর হবে। এবং সেই সঙ্গে ত্বক উজ্জ্বলও হবে।এছাড়াও Waxing করার পর ত্বক লালচে হয়ে যায় এটিও কমাবে এই মাস্ক।
★★টিপস
১)ওয়াক্সিং করার সময় টেনে তুলবেন লোমের বিপরীত দিক থেকে। এতে ওয়াক্সিং করা সহজ হবে।
২)ওয়াক্সিং করার পর ঐ অংশটুকু লালচে হয়ে যায়। তাই আপনার পছন্দের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
৩) ওয়াক্সিং এর কারনে ব্যাথা অনুভব করলে ঐ অংশে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করুন।
লেখকঃ জাহান জিনাত ( বিউটি এক্সপার্ট কারনেসিয়া )
তথ্য ও ছবিঃ গুগোল
আপনার ত্বক যে টাইপেরই হোক না কেন, তা আপনার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবাই-ই চায় সুন্দর ও হেলদি স্কিন যা… Read More
বডি শপ ভিটামিন ই ক্রিম ক্লিনজার(The Body Shop Vitamin E Cream Cleanser) হলো একটি ফেসিয়াল ক্রিম ক্লিনজার যা আপনার মুখের… Read More
যদি এমন হয় আপনার ত্বক আগের থেকে আরও সুন্দর ও গোলাপি আভা দিচ্ছে? এখন আপনিও পেতে পারেন আকর্ষণীয় ত্বক৷ নিউট্রোজিনা… Read More
আপনার সংবেদনশীল ত্বকের জন্য আপনি অবশ্যই ভালো এবং স্কিন টাইপ অনুযায়ী ফেইস ওয়াশ কেনা উচিৎ। কেননা যে কোনো কিছু আপনার… Read More
টি ট্রি 3-ইন-1 ওয়াশ স্ক্রাব মাস্কটি(The Body Shop Tea Tree 3-In-1 Wash Scrub Mask) সব দিকেই দক্ষ। এটি মুখের ধোয়া… Read More
আমরা সকলেই জানি ভিটামিন-সি মুখের ক্লিনজার হিসেবে অনেক বেশি কার্যকর। আর তা যদি হয় প্রাকিতিক উপাদানে ভরপুর তাহলে তো আর… Read More
This website uses cookies.
Leave a Comment